রাজবাড়ীর পাংশায় আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) নামের এক বিএনপিকর্মীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বক্কর সিদ্দিকি মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের আনসার আলী প্রামাণিকের ছেলে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া তিনি স্থানীয় ‘সোনালী সার্বিক উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ নামে একটি এনজিও পরিচালনা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত বুধবার পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি যেহেতু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাই নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় চলে যাই। নির্বাচনের পরদিন দুপুরে বাড়ি ফিরে আসি। বিকেলে বাজারে গেলে সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য পিন্টুর নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের কল্লোল মৃধা, সুরুজ প্রামাণিক ওরফে ওকে, জাহিদুল ইসলামসহ ১০-১২ জন ছিলেন। প্রত্যেকের হাতে লোহার রড ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিল।
তিনি আরও বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে পিন্টু মেম্বারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই মহসিন উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন পিন্টুর নেতৃত্বে তাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। পরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়। ওই জরিমানার টাকা দেওয়ার পর থেকে পিন্টু মেম্বার টাকা ফেরত চেয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, মারামারির সময় আমি বাজারে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে আহতের খোঁজ নিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।